,

কাশিয়ানীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে

ছবি-বাংলার চোখ

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: মহাষষ্ঠী পূজা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যেদিয়ে গোপালগঞ্জে কাশিয়ানীতে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলার ২২৬টি মন্ডপে এক যোগে শুরু হয় দেবী দুর্গার পূজা। ঢাক, কাসর, শঙ্খ ও উলুর ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে শহরর থেকে পাড়া মহল্লা গ্রাম। এ সময় পুরোহিতের মন্ত্রে প্রত্যকটি মন্দিরে সৃষ্টি হয় ধর্মীয় আবাহ। প্রতিটি প্রতিমায় ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এ সময় সনাতন ধর্মালম্বীরা ফল, মিষ্টি নৈবেদ্য সাজিয়ে দেবী দূর্গাকে নিবেদন করেন। পরে পূজা শেষে ভক্তবৃন্দের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

এ বছর দেবী দুর্গা ঘোড়ায় চড়ে পৃথিবীতে এসেছেন, আগামী ৮ অক্টোবর বিসর্জনের মাধ্যমে ঘোড়ায় চড়েই কৈলাসে ফিরবেন তিনি।

এদিকে, দুর্গোৎসবকে ঘিরে জমে উঠেছে কেনাকাটা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কেনাকাটায় মুখর ফ্যাশন হাউজ ও মার্কেটগুলো। পূজা উপলক্ষে উপজেলার প্রতিটি মার্কেট ও বিপণী বিতানে লাল-সাদার সালোয়ার-কামিজসহ বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙের পোশাক রয়েছে। আরো আছে সালোয়ার-কামিজের শাড়ি, ফতুয়া ও উজ্জ্বল রঙের ওড়না। ছেলেদের জন্যে এসেছে বাহারি সব ডিজাইনের ধুতি ও শর্ট পাঞ্জাবি।

উপজেলার সদরের হাজী মার্কেট, দত্ত মার্কেট, ঐশী বস্ত্রালয়, বিনোদ মার্কেট, খান সেন্টার, সিকদার মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপনীবিতান ও শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে, সনাতনী পরিবারের লোকজন পূজার কেনাকাটার জন্যে এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে যাচ্ছেন আর পছন্দ অনুযায়ী কেনাকাটা করছেন।

ক্রেতা সমাপ্তি রায় বলেন, পূজার শাড়ি মানেই লাল পাড়ে সাদা শাড়ি। মা দুর্গাকে বরণ করতে লাল-সাদার সনাতনী সাজ অবশ্যই থাকবে। তাই দুটা জামাদানি আর কাতান শাড়ি কিনেছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার পূজায় বাচ্চাদের ফ্লোর টাচ ও মোদি কটির চাহিদা রয়েছে। ক্রেতারা আরো খুঁজছেন জামদানি ও সিল্কের শাড়ি। সমান তালে মেয়েরা ভিড় করছেন শাঁখা-সিঁদুরের দোকানে।

এবার শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাজারে এসেছে এপেক্স, বাটা, ওরিনসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নতুন নতুন ডিজাইনের জুতো। শারদোৎসবের পোশাকে লাল শক্তির আর সাদা শুভ্রতার প্রতীক হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে আসছে।

কাশিয়ানী সদরের বস্ত্র ব্যবসায়ী পলাশ দত্ত জানান, এবার পূজায় শাড়ি, প্রী পিচ ও কাটা থ্রী-পিচ বিক্রি ভালই হচ্ছে। জামদানি, বালুচুরী ও কাতান শাড়ির চাহিদা বেশি।

কাশিয়ানী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপন ও যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রতিটি মন্দিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশের পাশাপাশি মন্দির পরিচালনা কমিটির স্বেচ্ছাসেবক কর্মী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর